অবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াতঃ ০১⇒ এই প্রবচন সকল সেই গ্রন্থের ও উজ্জল কোরআনের হয়।
আয়াতঃ ০২⇒ অনেক সময় ধর্মদ্রোহীগণ বন্ধুতা স্থাপন করে, হায়! যদি তাহারা মোসলমান হইত।
আয়াতঃ ০৩⇒ তুমি তাহাদিগকে ছাড়িয়া দাও, তাহারা ভক্ষন ও ফল ভোগ করুক, এবং কামনা তাহাদিগকে (সংসারে) লিপ্ত রাখুক, পরে শীঘ্রই তাহারা জানিতে পাইবে।
আয়াতঃ ০৪⇒ এবং আমি কোন গ্রামকে তাহার জন্য নিরুপিত লিপি ব্যতীত বিনাশ করি নাই।
আয়াতঃ ০৫⇒ কোন সম্প্রদায় স্বীয় নির্দিষ্ট কালের অগ্রবর্তী ও পশ্চাদ্বর্তী হয় না।
আয়াতঃ ০৬⇒ এবং তাহারা বলে যে, “ওহে যাহার উপর উপদেশ (কোরআন) অবতীর্ণ হইয়াছে, তুমি সেই ব্যক্তি, নিশ্চয় তুমি ক্ষিপ্ত।
আয়াতঃ ০৭⇒ যদি তুমি সত্যবাদীদিগের অন্তর্গত হও তবে কেন আমাদের নিকটে দেবতাদিগকে আনয়ন করিতেছ না”।
আয়াতঃ ০৮⇒ আমি দেবগণকে ন্যায়ানুসারে ব্যতীত অবতারণ করি না, এবং তখন তাহারা (ধর্মদ্রোহীগণ) অবকাশ প্রাপ্ত হইবে না।
আয়াতঃ ০৯⇒ নিশ্চয় আমি উপদেশ অবতারণ করিয়াছি, এবং নিশ্চয় আমি তাহার সংরক্ষক।
আয়াতঃ ১০⇒ এবং সত্যসত্যই আমি (হে মোহ্মমদ) তোমার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায় সকলের মধ্যে (সংবাদবাহক) প্রেরণ করিয়াছি।
আয়াতঃ ১১⇒ এবং (এমন) কোন প্রেরিতপুরুষ তাহাদের নিকটে উপস্থিত হয় নাই যে, তাহারা তাহার প্রতি উপহাস বৈ করে নাই।
আয়াতঃ ১২⇒ এই প্রকারে আমি অপরাধীদিগের অন্তরে তাহা (বিদ্রুপ) চালনা করি।
আয়াতঃ ১৩⇒ তাহারা ইহার প্রতি (কোরআনের প্রতি) বিশ্বাস স্থাপন করে না, নিশ্চয় (এক্ষন) পূর্ববর্তীদিগের পদ্ধতি চলিয়া গিয়াছে।
আয়াতঃ ১৪⇒ এবং যদি আমি তাহাদের প্রতি আকাশের দ্বার মুক্ত করি তবে তাহারা তন্মধ্যে আরোহণকারী হইবে।
আয়াতঃ ১৫⇒ তাহারা অবশ্য বলিবে যে, “আমাদের চক্ষু বিহ্বল হইয়াছে বৈ নহে, বরং আমরা ইন্দ্রজালমুগ্ধ এক জাতি”।
আয়াতঃ ১৬⇒ এবং সত্যসত্যই আমি আকাশে গ্রহমণ্ডল সকল উৎপাদন করিয়াছি, এবং দর্শকদিগের নিমিত্ত তাহাকে শোভিত করিয়াছি।
আয়াতঃ ১৭+১৮⇒ এবং যে লুকাইয়া শ্রবন করিয়াছে তাহা ব্যতীত সমুদায় নিস্তাড়িত শয়তান হইতে তাহাকে রক্ষা করিয়াছি, অনন্তর উজ্জ্বল উল্কাপিন্ড তাহার অনুসরণ করিয়াছে।
আয়াতঃ ১৯⇒ এই পৃথিবী, ইহাকে আমি প্রসারিত করিয়াছি ও ইহার মধ্যে পর্বত সকল স্থাপন করিয়াছি, এবং ইহার মধ্যে প্রত্যেক পরিমিত বস্তু উৎপাদন করিয়াছি।
আয়াতঃ ২০⇒ এবং ইহার মধ্যে তোমাদের জন্য উপজীব্য সামগ্রী সৃজন করিয়াছি, এবং তোমরা যাহার জীবিকাদাতা নও তাহাকে (জীবদিগকে সৃজন করিয়াছি)।
আয়াতঃ ২১⇒ এবং (এমন) কোন বস্তু নাই যে, আমার নিকটে তাহার ভান্ডার নাই, এবং আমি নির্ধারিত পরিমাণ ব্যতীত তাহা অবতারণ করি না।
আয়াতঃ ২২⇒ এবং আমি ভারস্থাপনকারী, তৎপর আকাশ হইতে বারিবর্ষণ করিয়াছি, অনন্তর তাহা তোমাদিগকে পান করাইয়াছি; তোমরা তাহার সংগ্রহকারী নও।
আয়াতঃ ২৩⇒ এবং নিশ্চয় আমি জীবন দান করি ও প্রাণ হরণ করিয়া থাকি, এবং আমিই স্বত্বাধিকারী।
আয়াতঃ ২৪⇒ এবং সত্যসত্যই আমি তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে জ্ঞাত আছি, ও সত্যসত্যই আমি পরবর্তী লোকদিগকে জ্ঞাত আছি।
আয়াতঃ ২৫⇒ এবং নিশ্চয় (যিনি) তোমার প্রতিপালক, তিনি তাহাদিগকে সমুত্থাপন করিবেন, নিশ্চয় তিনি নিপুন ও জ্ঞাতা।
আয়াতঃ ২৬⇒ এবং সত্যসত্যই আমি মনুষ্যকে দুর্গন্ধ কদমের শুষ্ক মৃত্তিকা দ্বারা সৃজন করিয়াছি।
আয়াতঃ ২৭⇒ এবং পূর্বে দৈত্যদিগকে জ্বলন্ত অগ্নি দ্বারা সৃজন করিয়াছি।
আয়াতঃ ২৮⇒ এবং (স্মরণ কর) যখন তোমার প্রতিপালক দেবতাদিগকে বলিয়াছিলেন যে, “নিশ্চয় আমি দুর্গন্ধ কর্দমের শুষ্ক মৃত্তিকা দ্বারা মনুষ্যের সৃষ্টিকর্তা।
আয়াতঃ ২৯⇒ অনন্তর যখন আমি তাহাকে ঠিক করিয়া লইব, এবং তন্মধ্যে আপন প্রাণ ফুৎকার করিব, তখন তোমরা তাহাকে নমস্কার করিবে।“
আয়াতঃ ৩০+৩১⇒ পরে শয়তান ব্যতীত দেবগণ সমুদায় একযোগে নমস্কার করিল, সে নমস্কারকারীদিগের সঙ্গী হইতে অসম্মত হইল।
আয়াতঃ ৩২⇒ তিনি বলিলেন, “হে শয়তান, তোমার কি হইয়াছে যে, তুমি নমস্কারকারিদিগের সঙ্গী হইলে না?”
আয়াতঃ ৩৩⇒ সে বলিল, “দুর্গন্ধ কর্দমের শুষ্ক মৃত্তিকা দ্বারা তুমি যাহাকে সৃজন করিয়াছ আমি সেই মনুষ্যকে নমস্কার করিতে কখনো (বাধ্য) নহি।“
আয়াতঃ ৩৪⇒ তিনি বলিলেন, “তুমি এস্থান হইতে বাহির হও, অনন্তর নিশ্চয় তুমি তাড়িত।
আয়াতঃ ৩৫⇒ এবং নিশ্চয় তোমার প্রতি কেয়ামতের দিন পর্যন্ত অভিসম্পাত হইল।“
আয়াতঃ ৩৬⇒ সে বলিল, “হে আমার প্রতিপালক, অবশেষে আমাকে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত অবকাশ দাও।“
আয়াতঃ ৩৭+৩৮⇒ তিনি বলিলেন, “পরিশেষে নিশ্চয় তুমি নির্ধারিত সময়ের দিবস (আগমন) পর্যন্ত অবকাশ প্রাপ্তদিগের অন্তর্গত।“
আয়াতঃ ৩৯⇒ সে বলিল, “হে আমার প্রতিপালক, যেহেতু তুমি আমাকে বিভ্রান্ত করিলে আমি অবশ্য পৃথিবীতে তাহাদের জন্য (পাপকে) সজ্জিত করিব, এবং আমি অবশ্য একযোগে তাহাদিগকে বিভ্রান্ত করিব।
আয়াতঃ ৪০⇒ তাহাদের মধ্যে তোমার চিহ্নিত দাসগণকে ব্যতীত (সকলকে বিভ্রান্ত করিব)।“
আয়াতঃ ৪১⇒ তিনি বলিলেন, “ইহাই (এই বিশেষত্ব) আমার দিকে সরল পথ।
আয়াতঃ ৪২⇒ পথভ্রান্তদিগের যে ব্যক্তি তোমার অনুসরণ করিয়াছে তৎপ্রতি ভিন্ন নিশ্চয় আমার দাসগণের প্রতি তোমার প্রভাব নাই।
আয়াতঃ ৪৩⇒ এবং নিশ্চয় নরক তাহাদের সকলের অঙ্গীকৃত ভূমি।
আয়াতঃ ৪৪⇒ তাহার সপ্ত দ্বার, তাহার প্রত্যেক দ্বারের জন্য অংশ বিভাগ করা আছে।
আয়াতঃ ৪৫⇒ নিশ্চয় ধর্মভীরুগণ উদ্যান ও প্রস্রবন সকলে বাস করিবে।
আয়াতঃ ৪৬⇒ (বলা যাইবে) নিরাপদে ) স্বচ্ছন্দে এস্থানে প্রবেশ কর।
আয়াতঃ ৪৭⇒ এবং তাহাদের বক্ষে পরস্পর ভ্রাতৃবিদ্বেষ যাহা ছিল তাহা আমি বাহির করিব, তাহারা সিংহাসনের উপরে পরস্পর সম্মুখীন থাকিবে।
আয়াতঃ ৪৮⇒ তথায় কোন দুঃখ তাহাদিগকে প্রাপ্ত হইবে না, এবং তাহারা তথা হইতে বহিষ্কৃত হইবে না।
আয়াতঃ ৪৯⇒ আমার দাসদিগকে (হে মোহম্মদ) সংবাদ দান কর যে, আমি ক্ষমাশীল দয়ালু।
আয়াতঃ ৫০⇒ এবং এই যে আমার শাস্তি, তাহা দুঃখজনক শাস্তি।
আয়াতঃ ৫১⇒ এবং তাহাদিগকে এব্রাহিমের অতিথিদিগের সংবাদ দান কর।
আয়াতঃ ৫২⇒ যখন তাহারা তাহার নিকটে উপস্থিত হইয়াছিল তখন “সলাম” বলিয়াছিল। সে বলিয়াছিল, “নিশ্চয় আমরা তোমাদিগ হইতে ভীত আছি।“
আয়াতঃ ৫৩⇒ তাহারা বলিয়াছিল, “ভয় করিও না, নিশ্চয় আমরা তোমাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দান করিতেছি।“
আয়াতঃ ৫৪⇒ সে বলিয়াছিল যে, “আমাকে বৃদ্ধত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে, তদবস্থায় কি তোমরা আমাকে সুসংবাদ দান করিতেছ? অনন্তর কিরুপ শুভ সংবাদ দিতেছ?
আয়াতঃ ৫৫⇒ তাহারা বলিয়াছিল যে, “যথার্থভাবে আমরা তোমাকে সুসংবাদ দান করিতেছি, অতএব তুমি নিরাশদিগের অন্তর্গত হইও না।“
আয়াতঃ ৫৬⇒ এবং সে বলিয়াছিল, পথভ্রান্তগণ ব্যতীত কে স্বীয় প্রতিপালকের দয়াতে নিরাশ হয়?”
আয়াতঃ ৫৭⇒ বলিয়াছিল, “হে প্রেরিতগণ, অবশেষে তোমাদের কি অভিপ্রায়?”
আয়াতঃ ৫৮+৫৯+৬০⇒ তাহারা বলিয়াছিল যে, “নিশ্চয় আমরা লুতের স্বগণ ব্যতীত (অন্য) অপরাধী দলের প্রতি প্রেরিত হইয়াছি, নিশ্চয় আমরা তাহার ভার্যা ব্যতীত তাহাদিগকে (লুতের স্বগণদিগকে) একযোগে উদ্ধার করিব, আমরা স্থীর করিয়াছি যে, “নিশ্চয় সেই নারী পতিতদিগের অন্তর্গত”।
আয়াতঃ ৬১⇒ অনন্তর যখন প্রেরিতপুরুষগণ লুতের স্বগণবর্গের নিকটে উপস্থিত হইল।
আয়াতঃ ৬২⇒ তখন সে বলিল, “নিশ্চয় তোমরা অপরিচিত দল।“
আয়াতঃ ৬৩⇒ তাহারা বলিল, “বরং তাহারা যে বিষয়ে সন্দেহ করিতেছিল তৎসহ আমরা তোমার নিকটে আসিয়াছি।
আয়াতঃ ৬৪⇒ এবং আমরা তোমার নিকটে সত্যসহ উপস্থিত হইয়াছি, এবং নিশ্চয় আমরা সত্যবাদী।
আয়াতঃ ৬৫⇒ অনন্তর তুমি রজনীর এক-ভাগে স্বজনসহ প্রস্থান করিও ও তুমি তাহাদিগের পশ্চাদগমনের অনুসরণ করিও, এবং তোমাদের কেহ যেন পশ্চাদৃষ্টি না করে ও যে স্থানে তোমরা আদিষ্ট হইয়াছ তথায় চলিয়া যাইবে।
আয়াতঃ ৬৬⇒ এবং তাহার প্রতি আমি এই বিষয় নির্ধারণ করিয়াছিলাম যে, প্রাতঃকাল হইলে ইহাদিগের মূল ছিন্ন হইবে।
আয়াতঃ ৬৭⇒ এবং সেই নগরবাসিগণ আনন্দ সহকারে উপস্থিত হইল।
আয়াতঃ ৬৮⇒ সে বলিল, “নিশ্চয় ইহারা আমার অতিথি, অতঃপর তোমরা আমাকে অপমানিত করিও না।
আয়াতঃ ৬৯⇒ এবং ঈশ্বরকে ভয় কর ও আমাকে লাঞ্ছিত করিও না।“
আয়াতঃ ৭০⇒ তাহারা বলিল, “ধরাতলবাসীদিগকে (অতিথি করিতে) আমরা কি তোমাকে বারন করি নাই?”
আয়াতঃ ৭১⇒ সে বলিল, “যদি তোমরা কার্যকারক হও তবে ইহারা আমার কন্যা (বিবাহ কর)।“
আয়াতঃ ৭২⇒ তোমার জীবনের শপথ, (হে মোহম্মদ) নিশ্চয় তাহারা স্বীয় মত্ততায় ঘূর্ণায়মান ছিল।
আয়াতঃ ৭৩⇒ অনন্তর ঊষাকাল আগত হইলে ঘোর নিনাদ তাহাদিগকে আক্রমণ করিল।
আয়াতঃ ৭৪⇒ পরে আমি তাহার (নগরের) উন্নতিকে তাহার অবনতি করিলাম, এবং তাহাদিগের উপরে প্রস্তরকঙ্কর সকল বর্ষণ করিলাম।
আয়াতঃ ৭৫⇒ নিশ্চয় ইহাতে শিক্ষার্থীদিগের নিমিত্ত নিদর্শন সকল আছে।
আয়াতঃ ৭৬⇒ এবং নিশ্চয় তাহা (সেই নগর) পথিমধ্যে স্থিত।
আয়াতঃ ৭৭⇒ নিশ্চয়ই ইহাতে বিশ্বাসীদিগের জন্য নিদর্শন সকল আছে।
আয়াতঃ ৭৮⇒ নিশ্চয় আয়কানিবাসিগণ অত্যাচারী ছিল।
আয়াতঃ ৭৯⇒ অনন্তর আমি তাহাদিগ হইতে প্রতিশোধ লইয়াছি ও নিশ্চয় উভয় স্থান পথিমধ্যে প্রকাশিত আছে।
আয়াতঃ ৮০⇒ এবং সত্যসত্যই হেজ্বর নিবাসীগণ প্রেরিতপুরুষদিগের প্রতি অসত্যারোপ করিয়াছিল।
আয়াতঃ ৮১⇒ এবং তাহাদিগকে আমি আপন নিদর্শন সকল দান করিয়াছিলাম, পরন্তু তাহারা তাহার প্রতি বিমুখ ছিল।
আয়াতঃ ৮২⇒ এবং তাহারা পর্বত সকল হইতে নিরাপদ আলয় কাটিয়া লইতেছিল।
আয়াতঃ ৮৩⇒ অনন্তর প্রাতঃকাল হইলে বিকট ধ্বনি তাহাদিগকে প্রাপ্ত হইল।
আয়াতঃ ৮৪⇒ পরিশেষে তাহারা যাহা করিতেছিল তাহাদিগ হইতে তাহা দূর করিল না।
আয়াতঃ ৮৫⇒ এবং আমি সত্য ভাবে ব্যতীত স্বর্গ ও মর্ত এবং উভয়ের মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহা সৃজন করি নাই, নিশ্চয় কেয়ামত উপস্থিত হইবে, অনন্তর উত্তম ক্ষমারুপে ক্ষমা কর।
আয়াতঃ ৮৬⇒ নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক তিনিই সৃষ্টিকর্তা জ্ঞানবান।
আয়াতঃ ৮৭⇒ এবং সত্যসত্যই তোমাকে (হে মোহম্মদ) আমি দ্বিরুক্তির সপ্ত (আয়ত) এবং মহা কোরআন প্রদান করিয়াছি।
আয়াতঃ ৮৮⇒ যাহা দ্বারা আমি তাহাদিগের অনেক প্রকারের লোককে লাভমান করিয়াছি, তুমি তাহার প্রতি আপন দৃষ্টিকে প্রসারন করিও না প ইহাদের সম্বন্ধে শোক করিও না, এবং বিশ্বাসীগণের জন্য স্বীয় বাহুকে নত কর।
আয়াতঃ ৮৯⇒ বল, নিশ্চয় আমি স্পষ্ট ভয়প্রদর্শক।
আয়াতঃ ৯০+৯১⇒ যদ্রুপ আমি (ঈশ্বর) বিভাগকারীদিগের প্রতি শাস্তি অবতারণ করিয়াছি, তদ্রূপ যাহারা কোরআনকে খন্ড খন্ড করিয়াছে তাহাদিগের প্রতি (শাস্তি প্রেরণ করিব)।
আয়াতঃ ৯২+৯৩⇒ অনন্তর তোমার প্রতিপালকের শপথ, তাহারা যাহা করিতেছিল সমবেতভাবে তাহাদিগকে আমি তদ্বিষয়ে প্রশ্ন করিব।
আয়াতঃ ৯৪⇒ পরে যে বিষয়ে তুমি আদিষ্ট হইতেছ তাহা প্রচার কর, এবং অংশীবাদিগন হইতে বিমুখ হও।
আয়াতঃ ৯৫⇒ নিশ্চয় আমি বিদ্রুপকারীদিগকে তোমার পক্ষে যথেষ্ট করিলাম।
আয়াতঃ ৯৬⇒ যাহারা ঈশ্বরের সঙ্গে অপর ঈশ্বর নির্ধারিত করে, পরে সত্বর তাহারা জানিবে।
আয়াতঃ ৯৭⇒ এবং সত্যসত্যই আমি জানিতেছি তাহারা যাহা বলিতেছে তজ্জন্য তোমার বক্ষঃস্থল সঙ্কুচিত হইতেছে।
আয়াতঃ ৯৮⇒ অনন্তর তুমি আপন প্রতিপালকের গুন পবিত্রভাবে কীর্তন কর, এবং প্রনামকারীদিগের অন্তর্গত হও।
আয়াতঃ ৯৯⇒ এবং যে পর্যন্ত তোমার প্রতি মৃত্যু উপস্থিত হয়, সে পর্যন্ত আপন প্রতিপালককে অর্চনা কর।