অবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াতঃ ০১⇒ মৃদুসঞ্চারিত (বায়ুর) শপথ।
আয়াতঃ ০২⇒ অনন্তর বেগে বেগবান (বায়ুর শপথ)।
আয়াতঃ ০৩⇒ এবং (জলদজাল) বিকিরণে বিকিরণকারী (বায়ুর শপথ)।
আয়াতঃ ০৪⇒ অবশেষে বিয়োজনে বিয়োজক (বায়ুর শপথ)।
আয়াতঃ ০৫+০৬⇒ অনন্তর কারন প্রদর্শন অথবা ভয়প্রদর্শনের জন্য উপদেশ অবতারণকারী (দেবগণের শপথ)।
আয়াতঃ ০৭⇒ নিশ্চয় তোমরা যাহা অঙ্গীকৃত হইতেছ তাহা অবশ্য সংঘটনীয়।
আয়াতঃ ০৮⇒ অন্তর যখন তারকাপুঞ্জ নিরবাপিত হইবে।
আয়াতঃ ০৯⇒ এবং যখন গগনমণ্ডল বিদীর্ণ হইবে।
আয়াতঃ ১০⇒ এবং যখন শৈলশ্রেণী উৎখাত হইবে।
আয়াতঃ ১১⇒ এবং যখন প্রেরিতপুরুষগণ (যথাসময়ে) সমবেত হইবে।
আয়াতঃ ১২⇒ (জিজ্ঞাসা করা যাইবে) “কোন দিবসের জন্য (নক্ষত্রাদিকে) নিবৃত রাখা হইয়াছে”?
আয়াতঃ ১৩⇒ (তাহারা বলিবে) “বিচার-নিষ্পত্তির দিনের জন্য”।
আয়াতঃ ১৪⇒ এবং কিসে তোমাকে জানাইয়াছে বিচার-নিষ্পত্তির দিন কি?
আয়াতঃ ১৫⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ১৬⇒ আমি কি পূর্বতন লোকদিগকে বিনাশ করি নাই?
আয়াতঃ ১৭⇒ তৎপর পরবর্তী লোকদিগকেও তাহাদের অনুগামী করিব।
আয়াতঃ ১৮⇒ আমি অপরাধীদিগের সঙ্গে এইরুপ করিয়া থাকি।
আয়াতঃ ১৯⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ২০⇒ আমি কি তোমাদিগকে নিকৃষ্ট বারি (শুক্র) দ্বারা সৃজন করি নাই?
আয়াতঃ ২১+২২⇒ অনন্তর তাহা এক দৃঢ় স্থানে এক নির্দিষ্ট পরিমাণ (সময়) পর্যন্ত রাখিয়াছি।
আয়াতঃ ২৩⇒ অনন্তর পরিমাণ করিয়াছি, অবশেষে আমি উত্তম পরিমাণকারক।
আয়াতঃ ২৪⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ২৫+২৬⇒ আমি কি জীবিত ও মৃত ব্যক্তিগণের সংগ্রহকারী ধরাতলকে করি নাই?
আয়াতঃ ২৭⇒ এবং তন্মধ্যে সমুন্নত গিরিশ্রেনী স্থাপন করিয়াছি, এবং তোমাদিগকে সুরস বারি পান করাইয়াছি।
আয়াতঃ ২৮⇒ সেই দিবস অসত্যাকারী লোকদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ২৯⇒ (বলা হইবে) “যাহার প্রতি তোমরা অসত্যারোপ করিতেছিলে সেই বস্তুর নিকটে যাও”।
আয়াতঃ ৩০+৩১⇒ ত্রিশাখাবিশিষ্ট (ধূমের) ছায়ার দিকে যাও, তাহা ছায়াপ্রদায়ক নহে, এবং তাহা জ্বলন্ত অগ্নি প্রশমিত করিবে না।
আয়াতঃ ৩২⇒ নিশ্চয় তাহা অট্টালিকা তুল্য (বৃহৎ) স্ফুলিঙ্গ সকল নিক্ষেপ করে।
আয়াতঃ ৩৩⇒ যেন তাহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী।
আয়াতঃ ৩৪⇒ সেই দিন অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ৩৫⇒ এই এক দিন যে তাহারা কথা বলিবে না।
আয়াতঃ ৩৬⇒ এবং তাহাদিগকে অনুমতি দেওয়া যাইবে না যে, পরে আপত্তি করে।
আয়াতঃ ৩৭⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ৩৮⇒ (বলা হইবে) “এই বিচার-নিষ্পত্তির দিন, আমি তোমাকে ও পূর্বতন লোকদিগকে একত্রিত করিয়াছি।
আয়াতঃ ৩৯⇒ অনন্তর যদি তোমাদের প্রবঞ্চনা থাকে তবে আমার প্রতি প্রবঞ্চনা কর”।
আয়াতঃ ৪০⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ৪১+৪২⇒ নিশ্চয় ধর্মভীরু লোকেরা যে ছায়া ও পয়ঃপ্রনালী এবং ফলপুঞ্জ অভিলাষ করিয়া থাকে তাহারা তাহার মধ্যে থাকিবে।
আয়াতঃ ৪৩⇒ (বলা হইবে) “তোমরা যাহা (যে সৎকর্ম) করিতেছিলে তজ্জন্য সুমিষ্ট ভোজন ও পান কর”।
আয়াতঃ ৪৪⇒ নিশ্চয় আমি এই প্রকার হিতকারী লোকদিগকে বিনিময় দান করিয়া থাকি।
আয়াতঃ ৪৫⇒ সেই দিন অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ৪৬⇒ (বলা হইবে) “অল্প ভক্ষন কর ও ফলভোগ করিতে থাক,” নিশ্চয় তোমরা অপরাধী।
আয়াতঃ ৪৭⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ।
আয়াতঃ ৪৮⇒ এবং যখন তাহাদিগকে বলা যায়, “উপাসনা কর,” তাহারা উপাসনা করে না।
আয়াতঃ ৪৯⇒ সেই দিবস অসত্যারোপকারীদিগের জন্য আক্ষেপ। আয়াতঃ ৫০⇒ অনন্তর এই (কোরআনের) পরে কোন কথাকে তাহারা বিশ্বাস করিতেছে?