অবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াতঃ ০১⇒ কঠিনরুপে (কাফেরদিগের প্রাণ) আকর্ষণকারী (দেবগণের) শপথ।
আয়াতঃ ০২⇒ এবং (বিশ্বাসীদিগের প্রাণ) বহিষ্করণে বহিষ্কারক।
আয়াতঃ ০৩⇒ এবং সন্তরণে সন্তরণকারক।
আয়াতঃ ০৪⇒ অনন্তর (আজ্ঞাপালনে সর্বোপরি) অগ্রগমনে অগ্রগামী।
আয়াতঃ ০৫⇒ অবশেষে কার্যের তত্ত্বাবধায়ক (দেবগণের শপথ)।
আয়াতঃ ০৬⇒ (স্মরণ কর) যে দিবস স্পন্দনকারী (পর্বতাদি) স্পন্দিত হইবে।
আয়াতঃ ০৭⇒ অনুবর্তী তাহার অনুবর্তন করিবে।
আয়াতঃ ০৮⇒ সেই দিন বহু হৃদয় ত্রস্ত হইবে।
আয়াতঃ ০৯⇒ তাহাদের দৃষ্টি ক্ষীণ হইয়া যাইবে।
আয়াতঃ ১০+১১⇒ তাহারা বলিতেছে, “যখন আমরা বিকৃত অস্থিপুঞ্জ হইয়া যাইব, তখন আমরা কি পূর্বাবস্থায় পরিণত হইব কি (পুনরুত্থিত হইব)”?
আয়াতঃ ১২⇒ তাহারা বলিল, “সেই সময় (বিচারস্থলে) ফিরিয়া আসা ক্ষতিজনক”।
আয়াতঃ ১৩⇒ অনন্তর উহা এক চিৎকার এতদ্ভিন্ন নহে।
আয়াতঃ ১৪⇒ অবশেষে অকস্মাৎ রতাহারা সাহেরাতে আসিবে।
আয়াতঃ ১৫⇒ তোমার নিকটে কি (হে মোহম্মদ) মুসার বৃত্তান্ত উপস্থিত হয় নাই?
আয়াতঃ ১৬⇒ (স্মরণ কর) যখন তাহার প্রতিপালক তাহাকে তোয় নামক পুণ্য প্রান্তরে ডাকিয়া বলিয়াছিলেন,।
আয়াতঃ ১৭⇒ “তুমি ফেরওণের নিকটে যাও, নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘনকারী।
আয়াতঃ ১৮⇒ অনন্তর বল, পবিত্র হওয়ার দিকে তোমার কি (অভিলাষ) আছে?
আয়াতঃ ১৯⇒ এবং আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথ প্রদর্শন করিব পরে তুমি ভয় পাইবে”।
আয়াতঃ ২০⇒ অনন্তর ফেরওণকে সে যাহা অলৌকিকতা প্রদর্শন করিল।
আয়াতঃ ২১⇒ পরে সে অসত্যারোপ করিল ও অবাধ্য হইল।
আয়াতঃ ২২⇒ তৎপর দৌড়িয়া পৃষ্ঠভঙ্গ দিল।
আয়াতঃ ২৩⇒ অনন্তর (লোক) সংগ্রহ করিল, পরে ডাকিল।
আয়াতঃ ২৪⇒ পরিশেষে বলিল, “আমি তোমাদের মহাপ্রতিপালক”।
আয়াতঃ ২৫⇒ অবশেষে পরমেশ্বর ঐহিক ও পারলৌকিক শক্তিতে তাহাকে ধরিলেন।
আয়াতঃ ২৬⇒ নিশ্চয় যাহারা আশঙ্কা করে তাহাদের জন্য ইহার মধ্যে শিক্ষা আছে।
আয়াতঃ ২৭⇒ সৃষ্টির মধ্যে তোমরা কি দৃঢ়তর, না স্বর্গলোক? (পরমেশ্বর) তাঁহাকে নির্মাণ করিয়াছেন।
আয়াতঃ ২৮⇒ তিনি তাহার ছাদ সমুন্নত করিয়াছেন, অনন্তর তাহাকে ঠিক রাখিয়াছেন।
আয়াতঃ ২৯⇒ তাহার রাত্রিকে আচ্ছাদিত করিয়াছেন, এবং তাহারা উষা বাহির করিয়াছেন।
আয়াতঃ ৩০⇒ এবং ইহার পরে ভূতলকে প্রসারিত করিয়াছেন।
আয়াতঃ ৩১⇒ তাহা হইতে তাহার জল এবং তাহার তৃণক্ষেত্র বাহির করিয়াছেন।
আয়াতঃ ৩২+৩৩⇒ এবং গিরিশ্রেণীকে তোমাদের ও তোমাদের গ্রাম্য পশুদিগের লাভের জন্য দৃঢ়বদ্ধ করিয়াছেন।
আয়াতঃ ৩৪⇒ অনন্তর (স্মরণ কর) যখন ঘোর বিপদ উপস্থিত হইবে।
আয়াতঃ ৩৫⇒ সে দিবস মনুষ্য (কার্যে) যাহা চেষ্টা করিয়াছে তাহা স্মরণ করিবে।
আয়াতঃ ৩৬⇒ এবং যে দর্শন করিতেছে তাহার জন্য নরকলোক প্রকাশিত হইবে।
আয়াতঃ ৩৭⇒ অনন্তর কিন্তু যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করিয়াছে।
আয়াতঃ ৩৮⇒ এবং পার্থিব জীবনকে স্বীকার করিয়াছে।
আয়াতঃ ৩৯⇒ পরে নিশ্চয়ই সেই নরকলোক (তাহার) অবস্থিতি স্থান।
আয়াতঃ ৪০+৪১⇒ কিন্তু যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের নিকটে দন্ডায়মান হইতে ভয় পাইয়াছে, এবং চিত্তকে বিলাস-বাসনা হইতে নিবৃত্ত রাখিয়াছে, পরিশেষে নিশ্চয় সেই স্বর্গলোক (তাহার) অবস্থিতি স্থান।
আয়াতঃ ৪২⇒ কেয়ামতের বিষয় তাহারা তোমাকে প্রশ্ন করিতেছে যে, কখন তাহার সমুপস্থিত হইবে।
আয়াতঃ ৪৩⇒ তাহার স্মরণ সম্বন্ধে (জ্ঞান-সম্বন্ধে) তুমি (হে মোহম্মদ) কিসে আছ?
আয়াতঃ ৪৪⇒ তোমার প্রতিপালকের প্রতিই তাহার (জ্ঞানের) সীমা।
আয়াতঃ ৪৫⇒ যাহারা তাহাকে ভয় করে তুমি তাহাদের ভয়প্রদর্শক এতদ্ভিন্ন নও।
আয়াতঃ ৪৬⇒ যে দিবস তাহারা উহা দর্শন করিবে যেন এক সন্ধ্যা বা প্রাতঃকাল ভিন্ন তাহারা (পৃথিবীতে) বিলম্ব করে নাই (মনে করিবে)