অবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াতঃ ০১⇒ আকাশ যখন বিদীর্ণ হইবে।
আয়াতঃ ০২⇒ এবং সে স্বীয় প্রতিপালকের (আজ্ঞার) জন্য কর্ণার্পণ করিবে ও (আজ্ঞা শ্রবনের) উপযুক্ত হয়।
আয়াতঃ ০৩⇒ এবং যখন পৃথিবী আকৃষ্ট হইবে।
আয়াতঃ ০৪⇒ এবং তন্মধ্যে যে কিছু আছে নিক্ষিপ্ত হইবে ও সে শূন্য হইয়া যাইবে।
আয়াতঃ ০৫⇒ এবং সে স্বীয় প্রতিপালকের (আজ্ঞার) জন্য কর্ণপাত করিবে ও সে উপযুক্ত হয়।
আয়াতঃ ০৬⇒ যখন হে মনুষ্য, নিশ্চয় তুমি আপন প্রতিপালকের প্রতি (সাক্ষাৎকারের জন্য) প্রযত্নে প্রযত্নবান হইবে, তাঁহার সাক্ষাৎকারী হইবে।
আয়াতঃ ০৭+০৮⇒ অনন্তর কিন্তু যাহাকে তাহার দক্ষিন হস্তে তাহার পুস্তক (কার্যলিপি) প্রদত্ত হইয়াছে, পরে অচিরেই তাহাকে সহজ বিচারে বিচারিত হইতে হইবে।
আয়াতঃ ০৯⇒ এবং সে সহর্ষে স্বীয় পরিজনের দিকে ফিরিয়া যাইবে।
আয়াতঃ ১০+১১⇒ কিন্তু যাহাকে তাহার পুস্তক তাহার পৃষ্ঠের পশ্চাদ্ভাগে প্রদত্ত হইয়াছে, পরে অচিরেই সে মৃত্যুকে আহ্বান করিবে।
আয়াতঃ ১২⇒ এবং নরকে পহুঁছিবে।
আয়াতঃ ১৩⇒ নিশ্চয় সে (সংসারে) আপন পরিজনের মধ্যে আনন্দিত ছিল।
আয়াতঃ ১৪⇒ নিশ্চয় সে মনে করিয়াছিল যে, (ঈশ্বরের দিকে) পুনরাগমন করিবে না।
আয়াতঃ ১৫⇒ সত্য বটে, নিশ্চয় তাহার প্রতিপালক তাহার বিষয়ে দর্শক ছিলেন।
আয়াতঃ ১৬+১৭+১৮+১৯⇒ অনন্তর আরক্তিম গগনপ্রান্তরে এবং রজনীর ও যে সমস্ত সংগ্রহ (রজনী) (গোপন) করে সেই সকলের এবং চন্দ্রমার যখন সে পূর্ণ হয় আমি শপথ করিতেছি যে, অবশ্য এক অবস্থা হইতে অবস্থান্তরে তোমরা আরুঢ় হইবে।
আয়াতঃ ২০⇒ অনন্তর তাহাদের কি হইল যে, বিশ্বাস করিতেছে না?
আয়াতঃ ২১⇒ এবং যখন তাহাদিগের নিকটে কোরআন পঠিত হয় তাহারা প্রণাম করে না।
আয়াতঃ ২২⇒ বরং ধর্মদ্রোহীগণ অসত্যারোপ করে।
আয়াতঃ ২৩⇒ এবং যাহা তাহারা মনে পোষণ করে, ঈশ্বর তাহা উত্তম জ্ঞাত।
আয়াতঃ ২৪⇒ অনন্তর তুমি (হে মোহম্মদ) তাহাদিগকে দুঃখকর শাস্তির সংবাদ দান কর।
আয়াতঃ ২৫⇒ কিন্তু যাহারা বিশ্বাস স্থাপন ও সৎকর্ম করিয়াছে তাহাদের জন্য অক্ষুন্ন পুরস্কার আছে।