পরিচ্ছেদঃ ৯৭ পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না
হাদিসঃ ১৩৭⇒ ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল-হানযালী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তির হাদস হয় তাঁর সালাত (নামায/নামাজ) কবুল হবে না, যতক্ষন না সে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে। হাযরা-মাওতের এক ব্যাক্তি বলেন, হে আবূ হুরায়রা! হাদস কী? তিনি বলেন, নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ৯৮ উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযুর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে
হাদিসঃ ১৩৮⇒ ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) …. নু‘আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।
বর্ণনাকারীঃ নু’আয়ম মুজমির (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ৯৯ সন্দেহের কারনে উযূ করতে হয় না যতক্ষণ না (উযূ ভঙ্গের) নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মে
হাদিসঃ ১৩৯⇒ ‘আলী (রহঃ) …. ‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা গন্ধ পায়।
বর্ণনাকারীঃ আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০০ হালকাভাবে উযূ করা
হাদিসঃ ১৪০⇒ আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সুফিয়ান (রহঃ) আবার কখনো বলেছেন, তিনি শুয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত আদায় করলেন।
অন্য সূত্রে সুফিয়ান (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে আমার খালা মায়মূনা (রাঃ) এর কাছে রাত কাটালাম। রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন এবং রাতের কিছু অংশ চলে যাবার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ঝুলন্ত মশক থেকে হাল্কা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। রাবী ‘আমর (রহঃ) বলেন, তখন তিনি যেভাবে উযূ করেছেন আমিও সেভাবে উযূ করলাম এবং এসে তাঁর বাঁয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। সুফিয়ান (রহঃ) কখনোيسار (বাম) শব্দের স্থলে شمال বলতেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করালেন। এরপর আল্লাহর যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকতে থাকল।
এরপর মুয়াযযিন এসে তাঁকে সালাতের কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে সালাত এর জন্য রওয়ানা হলেন এবং সালাত আদায় করলেন, কিন্তু উযূ করলেন না। আমরা ‘আমর–কে বললামঃ লোকে বলে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখ ঘুমায় কিন্তু তাঁর অন্তর ঘুমায় না। তখন ‘আমর (রহঃ) বলেন, ‘আমি উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহঃ)–কে বলতে শুনেছি, নবীগনের স্বপ্ন ওহী। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ) ‘ আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে যবেহ করছি। (৩৭ : ১০২)
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০১ পূর্ণরূপে উযূ করা।
হাদিসঃ ১৪১⇒ আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) …. উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফার ময়দান থেকে রওয়ানা হলেন। গিরিপথে গিয়ে তিনি সওয়ারি থেকে নেমে পেশাব করলেন। এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন কিন্তু উত্তমরূপে করলেন না। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন কি?’ তিনি বললেনঃ সালাতের স্থান তোমার সামনে। তারপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। এরপর মুযদালিফায় এসে সওয়ারি থেকে নেমে উযূ করলেন। এবার পূর্ণরূপে উযূ করলেন। তখন সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হল। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। তারপর সকলে তাঁদের অবতরণ স্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিল। পুনরায় ঈশার ইকামাত দেওয়া হল। তিনি ঈশার সালাত আদায় করলেন এবং উভয় সালাতের মধ্য অন্য কোন সালাত আদায় করলেন না।
বর্ণনাকারীঃ উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০২ এক আঁজলা পানি দিয়ে দু’হাতে মুখমণ্ডল ধোয়া
হাদিসঃ ১৪২⇒ মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুর রহীম (রহঃ) …. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এভাবে উযূ করতে দেখেছি’।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৩ সর্বাবস্থায়, এমনকি সহবাসের সময়েও বিসমিল্লাহ বলা
হাদিসঃ ১৪৩⇒ আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ….. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বলে, بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখ)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৪ শৌচাগারে কি বলতে হয়?
হাদিসঃ ১৪৪⇒ আদম (রহঃ) ….. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ” (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার স্মরণ নিচ্ছি।)
ইবনু ‘আর’আরা (রহঃ) শু‘বা (রহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেন। গুনদার (রহঃ) শু‘বা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ (যখন শৌচাগারে যেতেন)। মূসা (রহঃ) হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا دَخَلَ (যখন প্রবেশ করতেন)। সাঈদ ইবন যায়দ (রহঃ) আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করতেন।
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৫ শৌচাগারের কাছে পানি রাখা
হাদিসঃ ১৪৫⇒ আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) …. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে গেলেন, তখন আমি তাঁর জন্য উযূর পানি রাখলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কে রেখেছে? তাঁকে জানানো হলে তিনি বলেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৬ মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখি হবে না, তবে ঘরের মধ্যে দেয়াল অথবা তেমন কোন আড়াল থাকলে ভিন্ন কথা।
হাদিসঃ ১৪৬⇒ আদম (রহঃ) …. আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন শৌচাগারে যায়, তখন সে যেন কিবলার দিকে মুখ না করে এবং তার পিঠও না করে, বরং তোমরা পূর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে (এই নির্দেশ মদিনার বাসিন্দাদের জন্য)।
বর্ণনাকারীঃ আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৭ দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা
হাদিসঃ ১৪৭⇒ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) …. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকে বলে মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) বলেন, ‘আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুটি ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন। তিনি [ওয়াসি (রহঃ)-কে] বললেন, তুমি বোধ হয় তাদের মধ্যে শামিল, যারা নিতম্বের ওপর ভর করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা। মালিক (রহঃ) বলেন, (নিতম্বের উপর ভর করার অর্থ হল) যারা সালাত আদায় করে এবং মাটি থেকে নিতম্ব না তুলে সিজদা করে।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৮ মহিলাদের বাইরে যাওয়া
হাদিসঃ ১৪৮⇒ ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নীগণ রাতের বেলায় প্রাকৃতিক প্রয়োজনে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ‘উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলতেন, আপনার সহধর্মিণীগণকে পর্দায় রাখুন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ঈশার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী সাওদা বিনত যাম‘আ (রাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়া। ‘উমর (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, হে সাওদা! আমি কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর আল্লাহ তা‘আলা পর্দার হুকুম নাযিল করেন।
বর্ণনাকারীঃ আয়শা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৮ মহিলাদের বাইরে যাওয়া
হাদিসঃ ১৪৯⇒ যাকারিয়্যা (রহঃ) … ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের প্রয়োজনের জন্য বের হবার অনুমতি দেয়া হয়েছে। হিশাম (রহঃ) বলেন, অর্থ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে।
বর্ণনাকারীঃ আয়শা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৯ ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
হাদিসঃ ১৫০⇒ ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) …. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বিশেষ এক প্রয়োজনে হাফসা (রাঃ) এর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
হাদিসঃ ১৫১⇒ ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) …. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন আমি আমাদের ঘরের উপর উঠলাম। আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি ইটের উপর বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বসেছেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১০ পানি দ্বারা ইসতিনজা করা
হাদিসঃ ১৫২⇒ আবূল ওলীদ হিশাম ইবনু ‘আবদুল মালিক (রহঃ) …. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র নিয়ে আসতাম। অর্থাৎ তিনি তা দিয়ে ইসতিনজা করতেন।
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১১ পবিত্রতা হাসিলের জন্য কারো সাথে পানি নিয়ে যাওয়া।
হাদিসঃ ১৫৩⇒ সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে তাঁর পিছনে পানির পাত্র নিয়ে যেতাম।
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১২ ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া
হাদিসঃ ১৫৪⇒ মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা’ নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইসতিনজা করতেন।
নাযর (রহঃ) ও শাযান (রহঃ) শু‘বা (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। হাদীসে বর্ণিত (عَنَزَة) ‘আনাযা’ শব্দের অর্থ এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে।
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৩ ডান হাতে ইসতিনজা করার নিষেধাজ্ঞা
হাদিসঃ ১৫৫⇒ মু‘আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরূষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাতে ইস্তিঞ্জা না করে।
বর্ণনাকারীঃ আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৪ প্রস্রাব করার সময় ডান হাত দিয়ে পুরূষাঙ্গ ধরবে না
হাদিসঃ ১৫৬⇒ মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) …. আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন পেশাব করে তখন সে যেন কখনো ডান হাত দিয়ে তার পুরূষাঙ্গ না ধরে এবং ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা না করে এবং পান করার সময় যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ফেলে।
বর্ণনাকারীঃ আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৫ পাথর দিয়ে ইসতিনজা করা
হাদিসঃ ১৫৭⇒ আহমদ ইবনু মুহাম্মদ আল-মক্কী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলে আমি তাঁর অনুসরণ করলাম। আর তিনি এদিক ওদিক তাকাতেন না। যখন আমি তাঁর নিকটবর্তী হলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, আমাকে কিছু পাথর কুড়িয়ে দাও, আমি তা দিয়ে ইসতিনজা করব। (বর্ণনাকারী বলেন), বা এ ধরনের কোন কথা বললেন, আর আমার জন্য হাড় বা গোবর আনবে না। তখন আমি আমার কাপড়ের কোচায় করে কয়েকটি পাথর এনে তাঁর পাশে রাখলাম এবং আমি তাঁর থেকে সরে গেলাম। তিনি প্রয়োজন শেষে সেগুলো ব্যবহার করলেন।
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৬ গোবর দিয়ে ইসতিনজা না করা
হাদিসঃ ১৫৮⇒ আবূ নু‘আয়ম (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার শৌচ কাজে যাবার সময় তিনটি পাথর কুড়িয়ে দিতে আমাকে আদেশ দিলেন। তখন আমি দু’টি পাথর পেলাম এবং তৃতীয়টির জন্য খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু পেলাম না। তাই একখণ্ড শুকনো গোবর নিয়ে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি পাথর দু’টি নিলেন এবং গোবর খণ্ড ফেলে দিয়ে বললেন, এটা নোংরা।
ইবরাহীম ইবন ইউসুফ (রহঃ), তার পিতা, আবূ ইসহাক (রহঃ), আবদূর রহমান (রহঃ) এর সূত্রে হাদীসখানা বর্ণনা করেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৭ উযূতে একবার করে ধোয়া
হাদিসঃ ১৫৯⇒ মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক উযূ (ওজু/অজু/অযু)-তে একবার করে ধুয়েছেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৮ উযূতে দু’বার করে ধোয়া
হাদিসঃ ১৬০⇒ হুসায়ন ইবনু ‘ঈসা (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উযূ (ওজু/অজু/অযু)-তে দু’বার করে ধুয়েছেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১১৯ উযূতে তিনবার করে ধোয়া
হাদিসঃ ১৬১⇒ আবদুল ‘আযীয ইবনু ‘আবদুল্লাহ আল-উওয়ায়সী (রহঃ) … হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর দু রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘উরওয়া হুমরান থেকে বর্ণনা করেন, ‘উসমান (রাঃ) উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেন, আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস বর্ণনা করব। যদি একটি আয়াতে কারীমা না হত, তবে আমি তোমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করতাম না। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলতে শুনেছি, যে কোন ব্যাক্তি সুন্দর করে উযূ করবে এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে, পরের সালাত আদায় করা পর্যন্ত তার মধ্যবর্তী যত গুনাহ আছে সব মাফ করে দেওয়া হবে। ‘উরওয়া (রহঃ) বলেন, সে আয়াতটি হলঃ
إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ
আমি যে সব স্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি তা যারা গোপন করে (২ : ১৫৯)
বর্ণনাকারীঃ হুমরান (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২০ উযূর মধ্যে নাকে পানি দেয়ে নাক পরিষ্কার করা ‘উসমান (রা), আবদুল্লাহ ইবন যায়দ (রা) ও ইবন ‘আব্বাস (রা) নবী থেকে এ কথা বর্ণনা করেছেনঃ
হাদিসঃ ১৬২⇒ আবদান (রহঃ) …… আবূ ইদরিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে। আর যে ইসতিনজা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করে।
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইদরিস (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২১ (ইসতিনজার জন্য) বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা
হাদিসঃ ১৬৩⇒ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) …. আবূ হুরায়রা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে তখন সে যেন নাকে পানি দেয়, এরপর যেন ঝেড়ে নেয়। আর যে ইস্তিঞ্জা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযূর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জাননা যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২২ দু’পা ধোয়া এবং মাসেহ না করা
হাদিসঃ ১৬৪⇒ মূসা (রহঃ) …. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে আমাদের পিছনে রয়ে গিয়েছিলেন, এরপর তিনি আমাদের কাছে পৌঁছে গেলেন। তখন আমরা আসরের সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করতে দেরী করে ফেলেছিলাম। তাই আমরা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিলাম এবং (তাড়াতাড়ির কারনে) আমাদের পা মাসেহ করার মত হালকা ভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেনঃ ‘পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের আযাব রয়েছে’। দুবার অথবা তিনবার তিনি একথা বললেন।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২৩ উযূতে কুলি করা।
হাদিসঃ ১৬৫⇒ আবূল ইয়ামান (রহঃ) ….. ‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি ‘উসমান (রাঃ)-কে উযূর পানি আনাতে দেখলেন। তারপর তিনি সে পাত্র থেকে উভয় হাতের উপর পানি ঢেলে তা তিনবার ধুয়ে ফেললেন। এরপর তাঁর ডান হাত পানিতে ঢুকালেন। এরপর কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝেড়ে ফেললেন। এরপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার এবং উভয় হাত কুনই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর প্রত্যেক পা তিনবার ধোয়ার পর বললেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমার এ উযূর ন্যায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেছি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার এ উযূর ন্যায় উযূ করে দু’ রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং তার মধ্য কোন বাজে খেয়াল মনে আনবে না, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দিবেন।
বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২৪ পায়ের গোড়ালী ধোয়া।
হাদিসঃ ১৬৬⇒ আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) …. মুহাম্মদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকেরা সে সময় পাত্র থেকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছিল। তখন তাঁকে বলতে শুনেছি, তোমরা উত্তমরূপে উযূ কর। কারন আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পায়ের গোড়ালীগুলোর জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।
বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২৫ চপ্পল পরা অবস্থায় উভয় পা ধোয়া কিন্তু চপ্পলের উপর মাসেহ না করা
হাদিসঃ ১৬৭⇒ আবদুল ইবনু ইউসুফ (রহঃ) …. ‘উবায়দ ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ)-কে বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করতে দেখি, যা আপনার অন্য কোন সঙ্গীকে করতে দেখিনা। তিনি বললেন, ‘ইবনু জুরায়জ, সেগুলো কি?’ তিনি বললেন, আমি দেখি, (১) আপনি তাওয়াফ করার সময় রুকনে ইয়ামানী দু’টি ব্যতীত অন্য রুকন স্পর্শ করেন না। (২) আপনি ‘সিবতী’ (পশমবিহীন) চপ্পল পরিধান করেন; (৩) আপনি (কাপড়ে) হলুদ রং ব্যবহার করেন এবং (৪) আপনি যখন মক্কায় থাকেন লোকে চাঁদ দেখে ইহরাম বাঁধে; কিন্তু আপনি তারবিয়ার দিন (৮ ই যিলহাজ্জ) না এলে ইহরাম বাঁধেন না।
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেনঃ রুকনের কথা যা বলেছ, তা এজন্য করি যে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইয়ামানী রুকনদ্বয় ছাড়া আর কোনটি স্পর্শ করতে দেখিনি। আর ‘সিবতী’ চপ্পল, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পশমবিহীন চপ্পল পরতে এবং তা পরিহিত অবস্থায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেছি, তাই আমি তা করতে ভালবাসি। আর হলুদ রং, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা দিয়ে কাপড় রঙিন করতে দেখেছি, তাই আমিও তা দিয়ে রঙিন করতে ভালবাসি। আর ইহরাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে তাঁর সওয়ারি রওনা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাঁকে ইহরাম বাঁধতে দেখিনি।
বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ)
হাদিসের মানঃ সহীহ
আরবী অনুবাদ ⇐⇐⇐⇒⇒⇒ ইংরেজি অনুবাদ
পরিচ্ছেদঃ ১২৬ উযূ এবং গোসলে ডান দিক থেকে শুরু করা
হাদিসঃ ১৬৮⇒ মূসা’দ্দাদ (রহঃ) …. উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যা [যয়নাব (রাঃ)]-কে গোসল করানোর সময় তাঁদের বলেছিলেনঃ তোমরা তার ডানদিক এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু) এর স্থান থেকে শুরু কর।